ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে জিম্মি নাবিক সিরাজগঞ্জের নাজমুল হক পরিবারে ঈদের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। তিনি জেলার কামারখন্দ উপজেলার চর-নূরনগর গ্রামের আবু শ্যামা ও নার্গিস দম্পতির একমাত্র ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদ ঘনিয়ে আসলেও নাবিক নাজমুলের এখনও মুক্তি মেলেনি। এবারের ঈদে তার বাবা-মা নিরবে অশ্রæ বিসর্জন দিচ্ছেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তারা বলছেন, কাকে নিয়ে ঈদ করব। নাবিক নাজমুল হচ্ছেন ওই পরিবারের উপার্জনকারী। আর এ ঈদে তার পাঠানো ঈদ সামগ্রী আসবে না। এজন্য তাকে ছাড়া ঈদ আনন্দ নেই পরিবারে। নাজমুল হকের বয়স এখন মাত্র ২৩ বছর এবং দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। প্রায় ২০ বছর বয়েসে জাহাজে চাকরি পাওয়ার সুবাদে পরিবারের মুখে হাসি ও খুশির আনন্দ ফুটিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের এ আনন্দঘেরা নাবিক নাজমুল হকসহ ২৩ নাবিক গত ১২ মার্চ ভারত মহাসগরে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়া জলদস্যদের কবলে জিম্মি হয়। এ জিম্মির পর থেকেই ছেলের মুক্তির সময় পার করছেন নাজমুলের পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান জাহাজে চাকরি পাওয়ায় অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু জলদস্যুদের কবলে নাজমুলের জিম্মি খবর শুনে খুব ভেঙে পড়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন সুলতানা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, জলদস্যুদের কবলে জিম্মির পর থেকেই জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে সরকার ও জাহাজ মালিকের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে ঈদ উপহার নিয়ে নাবিক নাজমুলের বাড়িতে যাব। উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সবুজ বলেন, বিষয়টি শোনার পরই নাজমুলের পরিবারের বাড়ি গিয়েছিলাম। নাবিক নাজমুলসহ ওই জাহাজের সকল জিম্মিকে দ্রুত উদ্ধারে সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। তবে শীঘ্রই তাদের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।